রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৮ : ২০Sumit Chakraborty
রিয়া পাত্র : ভারতের অর্থনৈতিক মানচিত্র দ্রুত পরিবর্তনশীল কিন্তু নানাভাবে ঋণের জালে বন্দি ত্র্যস্থ, বিধ্বস্ত। এই প্রেক্ষিতে ২০২২ সাল থেকে জিএসটির জন্য যে কমপেনসেশন রাজ্যকে দেওয়া হত তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের স্পনসর করা প্রকল্পগুলি রাজ্যে রাজ্যে অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে রাজ্যের বিপদ আরও বেড়েছে। কেননা রাজ্যগুলিকে এই প্রকল্পের ৪০ থেকে ৫০ ভাগ অংশীদারিত্বের দায় নিতে হয়।
এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন রাজ্য থেকে কেন্দ্র যে কর সংগ্রহ করে তার যে অংশ রাজ্যকে দেওয়া হয় তাও দ্রুত কমে যাচ্ছে। কারণ রাজ্যগুলি থেকে সংগ্রহীত কর একটা বড় পাত্রে এসে জমা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই সঞ্চিত অর্থের ওপর প্রচুর সেস চাপিয়ে দিচ্ছে। রাজ্যগুলি বহুদিন থেকে অর্থ কমিশনের কাছে রাজ্যের প্রতি এই মনোভাবের বিরুদ্ধে মতামত জানিয়েছে। এব্যাপারে কেন্দ্রের মনোভাব পরিবর্তন করতে দাবি জানিয়ছে কিন্তু অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে গেছে। প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের এই তিনদফা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছেন তার সদ্য প্রকাশিত বইতে। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে এই যুক্তরাষ্ট্রীয় ভারসাম্যহীনতা দূর করা জরুরি বলে দাবি তুলেছেন এই বইতে।
DEBT SUSTAINABILITY OF SUBNATIONAL GOVERNMENTS IN INDIA LESSONS FROM INTERNATIONAL DEBT CRISES’, ২০২৫ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উদ্বোধন করেছেন এই বইয়ের। বইটি লিখেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবার এক বিশিষ্ট কর্মকর্তা ছিলেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে গুরুভার পালন করেছেন দীর্ঘকাল। একই সঙ্গে লিখেছেন নারীর ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, ঋণের স্থায়িত্ব, রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন, রাজস্ব ফেডারেলিজম-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, যা সমাজের জন্য জরুরি, প্রয়োজনীয়। নতুন বইয়ে তিনি শুধু তুলে ধরলেন না, নিখুঁত বিশ্লেষণ করলেন ‘ঋণ’-এর।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই প্রসঙ্গে সুষ্টভাবে আলোকপাত এবং বিশ্লেষণ করেছেন তাঁর লেখা নতুন বইটিতে। তুলে ধরেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে এই উপমহাদেশে ঋণ কীভাবে একটি আর্থিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন শ্রীলঙ্কা, দেশের চরম সঙ্কট, চিনের থেকে ঋণ নিয়ে তাদের দুরাবস্থা, অর্থনীতির সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া, রাজনীতিতে গভীর প্রভাব, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি।
পাকিস্তানও ঋণ-জর্জরিত। ভারতের উপরেও রয়েছে ঋণের বোঝা, কিন্তু এক্ষেত্রে ঋণের বোঝা থাকলেও কখনওই শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি হয়নি। এই ঋণ নিয়ে কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে তার সমাধানের রাস্তাগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যসচিব। বইয়ের দু’মলাটের ভিতর গুছিয়ে রয়েছে এই অভিনব আলোচনা।